মঠবাড়িয়া সমাচার ২৪ নভেম্বর ২০২১ , ৪:৪৪:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
বরগুনা প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র বরগুনার বামনা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান বামনা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। উৎকোচ না দিলে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় শিল্প, বাণিজ্যিক, আবাসিকসহ কোন সংযোগেরই আবেদন তিনি জমা নিচ্ছে না। শিল্প সংযোগের নিরাপত্তা জামানত জমা দেয়ার পর দীর্ঘ এক বছর অতিবাহিত হলেও গ্রাহকরা সংযোগ পাচ্ছে না। সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমানের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রাহকরা পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কোন প্রতিকার পায়নি।
বরং যারা পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তাদেরকে তিনি বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরগুনার বামনা পল্লী বিদ্যুৎ এর সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান উপজেলার কালিকাবাড়ী গ্রামের মৃত আঃ হাশেম ফরাজীর ছেলে আঃ বারেক ফরাজীর মুরগীর ফার্মে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে। অযোধ্যা গ্রামের দলাই মিয়ার ছেলে মোঃ আব্দুল লতিফের কাছ থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ লাইনের ট্রান্সফর্মার স্থাপনের জন্য ৮ হাজার টাকা নিয়েছে। বামনা সাব-জোনাল অফিসের পশ্চিম পাশের মীর ওয়ার্কসপের সংযোগের জন্য ১০ হাজার উৎকোচ নিয়েছে। বামনা লঞ্চঘাট খন্দকার বাড়ির সম্মূখে গাছ কাটার সময় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে যায়।
খুঁটি ভাঙ্গার অপরাধে উপজেলা বেবাজিয়াখালী গ্রামের গাছ বেপারী আলী আকবরের কাছে অফিসে জমা দেয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। ছোট তালেশ্বর গ্রামের আব্দুল আজিজ ঘরামীর ছেলে মোহাম্মদ এমাদুল হক ঘরামির কোন কারণ ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরবর্তী সংযোগের জন্য তার কাছে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করে। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ গিলাবাদ গ্রামের নান্না হাওলাদারের স্ত্রী মোসাঃ মারুফা বেগমের কাছ থেকে ট্রান্সফর্মা পুনঃস্থাপনের জন্য ১৫ হাজার নিয়েছে। মঠবাড়িয়া উপজেলার লোদের হাওলা গ্রামের প্রেম ঘরামির ছেলে তাপস ঘরামি কাছ থেকে ট্রান্সফর্মা পুনঃস্থাপনের জন্য ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে। বামনা উপজেলার আমতলী (বটতলা) নিজাম স্ব-মিল এর মিটারের নিরাপত্তা জামানত টাকা প্রায় দুই বছর পূর্বে জমা দিয়েছে।
এজিএম বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মিটার স্থাপন করছে না। ডৌয়াতলা ইউনিয়নের রেজাউল মেম্বার প্রায় দেড় বছর আগে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য টাকা জমা দিলেও এখন পর্যন্ত সংযোগ পায়নি। রামনা লঞ্চঘাটের সোবাহান এর ছেলে বাবুল ওয়ার্কশপ এর জন্য ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে টাকা জমা দিয়ে এখনো সংযোগ পায়নি। সোনাখালী দীঘির পাড় সংলগ্ন মেসার্স রেনু বেগম অটো রাইস মিলের নিরাপত্তা জমানতের টাকা ২০২১ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি জমা দিলেও বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে না। উপজেলার ডৌয়াতলা সৌদি প্রবাসী হাসপাতালের থ্রি ফেইজ সংযোগের জন্য ছয় মাস পূর্বে আবেদন করলেও এজিএম মালামাল নেই অজুহাত দেখাচ্ছে।
অযোধ্যা গ্রামের জাহিদ ওয়ার্কসপ এর জন্য আবেদন নিয়ে একাধিক বার অফিসে গেলেও আবেদন জমা নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে বামনা সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন যে, তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত নেই। পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মাদ আলী জানান, তিনি বামনা সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমানের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগপত্র পেয়েছেন